
থ্রি-ইডিয়টস এর ভাইরাসের কথা নিশ্চয় মনে আছে। ডক্টর ভিরু সাহাস্ত্রাবুদ্ধে..
সে যে দুই হাতে সমানভাবে বোর্ডে লিখতে পারত, এটাই এমবিডেক্সটেরিটি। তবে মূল ব্যাপারটা আরো বিশদ।
মানে শুধু লেখার ক্ষেত্রে না আর কি!
কোনো কাজের ক্ষেত্রে দুই হাতের ব্যবহারে সমানভাবে পারদর্শী যে কাউকে বলা হবে এমবিডেক্সট্রাস, বাংলায় সব্যসাচী।
মহাভারতের তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনকে, দুই হাতেই সমান দক্ষতায় তীর নিক্ষেপ করতে পারতেন বিধায় তাকে সব্যসাচী বলা হতো।
ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখলাম ব্যাপারটা যথেষ্টই রেয়ার। মাত্র ১% লোক সব্যসাচী হয় অপরদিকে ডানহাতি ৯০%! আর বাঁহাতি বাকী ৯%
ভারতের এক ভদ্রলোক এই ব্যাপারটা নিয়ে আবার সিরিয়াস কাজ করে বসে আছেন।উনার একটি স্কুল আছে যেখানে উনি বাচ্চাদের দুই হাতে লিখার জন্য রীতিমত ট্রেনিং দিচ্ছেন।মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরৌলীতে অবস্থিত স্কুলটির ছাত্ররা লিখতে পারে দু’হাতেই।
বীণা বাদিনী ভারতের এক মাত্র “অ্যাম্বিডেক্সট্রাস” স্কুল, যেখানে ১৫০ জনেরও বেশি স্টুডেন্ট রয়েছে।
অসাধারণ দক্ষতার নেপথ্যে রয়েছেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক বিপি শর্মা। যিনি ইতোপূর্বে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
