
বেশ অনেকদিন আগে একটা নাটক দেখসিলাম অপি করিম আর পার্থ বড়ুয়ার।
নামঃ শেষ দুইদিন
নাটকের কাহিনীর সাথে এঙ্করিং ইফেক্টের কোনো দূর-দুরান্তের সম্পর্ক নাই। আচ্ছা তাহলে কেন এই প্রসঙ্গ এলো?
অপর্ণা ঘোষ ওই নাটকে একটা সাইড রোল প্লে করে। যে কিনা বিজনেসম্যান পার্থ’র পার্সোনাল সেক্রেটারী।
তো পার্থ একটা নতুন ঘড়ি আনবে বাজারে। অপর্ণা তারে বুদ্ধি দিলোঃ
স্যার আমাদের দেশে পাঁচ হাজার টাকায় ঘড়ি কিনে পরার মত কাস্টমার নাই এখনো..
তাইলে আমরা দশহাজার টাকায় প্রথমে ঘড়িটা বাজারে ছাড়ি পরে ওইটার দাম ফিফটি পার্সেন্ট কমায়ে করে দিবো পাঁচ হাজার …
কাস্টমার মনে করবে অর্ধেক দামে ঘড়ি পাওয়া যাচ্ছে !! তখন আমাদের কাস্টমার এমনিতেই বেড়ে যাবে
বহুকাল পরে এসে দেখলাম এই নাটকে দেখানো পদ্ধতি সত্যিকারেই একটা পাওয়ারফুল মার্কেটিং টুল। এবং ইহাই Anchoring Effect! অর্থাৎ, ব্রেইন প্রথম যে ইনফরমেশান পায় সেটাকে খুব গুরুত্বের সাথে ট্রিট করে এবং সেটার উপর নির্ভর করে তুলনামূলক ডিসিশান মেইক করে।

সুতরাং, কোন ব্র্যান্ড শপে SALE/DISCOUNT দেখে ঝাপায়ে পড়ার আগে একবার ভেবে নেবেন জিনিসটা আদৌ আপনার প্রয়োজন কিনা!
এই ব্যাপারে সবথেকে সুন্দর পরামর্শ সম্ভবত নিচের উদাহরণটাঃ
কাজ সেরে রাতে বাসায় ফিরতেসেন। লেইট নাইট। পানির পিপাসা পাইসে আপনার। সঙ্গে পানির বোতল আছে কিন্তু পানি শেষ। সামনে এগিয়ে দেখলেন একটা দোকান খোলা আছে। দোকানদার ২০/- টাকার পানি ৪০/- টাকা চাচ্ছে। আপনি কিনলেন।
অন্য আরেকদিন একই পরিস্থিতি। এবার আপনার কাছে পানি আছে। ওইদিকে দোকানদার ফিফটি পার্সেন্ট ডিসকাউন্টে ১০/- টাকায় পানি বিক্রি করতেসে। কথা হলো এইবার কি আপনি ওই পানি কিনবেন ?
অর্থাৎ, প্রয়োজনের সময় একটা জিনিস যতই দামী হোক সেটা কিনবেন কিন্তু অপ্রয়োজনে একটা জিনিস যতই সস্তা হোক এড়িয়ে যাবেন। এঙ্করিং ইফেক্ট থেকে বাচাঁর ফ্রি বুদ্ধি দিলাম কিন্তু।
