একটা বইয়ের নাম যতটুকু আঁতেল মার্কা হওয়া সম্ভব এইটা তার থেকেও বেশী। স্টিফেন রিচার্ডস কোভে’র লিখা বইটি সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন। বইটি অনেক বিখ্যাত এই কারণে আজকের লিখাটা লিখতে বসিনি বরং আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা যারা এখনো জীবনের শুরুর দিকে আছি তাদের জন্য অসম্ভব সুন্দর কিছু কথা ভদ্রলোক লিখে রেখেছেন।
আপনারা যারা ভাবছেন প্রায় চারশ পৃষ্ঠার একটা বই পড়ে (তাও আবার ইংরেজি এবং নন-ফিকশান 😜) আমি এই আর্টিকেল লিখতেসি তাদের মুখে চুনকালি মেরে স্বীকার করতেসি যে, আমি শুধু বইটার সামারি পড়সি। এবং মজার ব্যাপার হলো আমরা যারা আমজনতা আছি তাদের জন্য এতেই কাজ হয়ে যাবে কথা দিচ্ছি।
খেয়াল করসেন কিনা জানিনা, এত কচকচানি যে বই নিয়ে করতেসি সেটার নাম এখনো বলা হয়নি। “The 7 Habits of Highly Effective People“

১৯৮৯ সালে প্রকাশিত এই সেলফ-হেল্প বইটি এখনো সমান প্রাসঙ্গিক।
কোভে সাহেব উনার দৃষ্টিতে এই ৭টা অত্যন্ত কার্যকরী অভ্যাসকে আবার তিনটা ভাগে ভাগ করেছেন।
যারা বিলাই 😸 লেভেলের আইলসা তাদের জন্য নিচে মাইক্রো সামারি করলাম। বিস্তারিত ব্যাখ্যায় পরে যাচ্ছি।
1. The Private Victory (Focusing on Self-Mastery)
- Be Proactive: নিজের জীবনের দায়িত্ব নিজে নেয়া। স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের কাজটুকু করা।
- Begin with the End in Mind: ধরুন, নিজের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। কী হিসেবে ওইখানে শুয়ে থাকলে আপনি শান্তি পাবেন? একজন ডাক্তার? ইঞ্জিনিয়ার? লেখক? ব্যবসায়ী? সেই হিসেবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
- Put First Things First: নিজের কাজগুলো প্রায়োরিটি অনুসারে সাজিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আগে করা। আইজেনহাওয়ার মেট্রিক্স দিয়ে বিষয়টা ব্যাখ্যা করবো পরে।
2. The Public Victory (Focusing in Interdependence)
- Think Win-Win: অন্য কারো সাথে কাজ করার সময় উইন-উইন সিচুয়েশানে কাজ করা অর্থাৎ উভয়পক্ষ যেন লাভবান হয়।
- Seek First to Understand, then to be Understood: প্রথমে অন্যপক্ষের কথা empathy সহকারে শুনতে এবং বুঝতে চেষ্টা করা, তারপর নিজের মতামত ব্যক্ত করা।
- Synergize: ধরুন, আপনার পকেটে টাকা আছে এবং অন্য একজনের কাছে আছে আইডিয়া এবং ব্যবসা পরিচালনার জ্ঞান। তো, আপনারা দুইজন একে অন্যের সাহায্য নিয়ে বিজনেস শুরু করলেন- এটাই সিনার্জি।
3. Renewal
- Sharpen the Saw: চারটি ভিন্ন মাত্রায় ধারাবাহিকভাবে নিজেকে ঝালিয়ে নেয়া। নিজের ডেভেলপমেন্টের ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকা এবং ইনভেস্ট করা।
শারীরিকঃ নিজের হেলথের কেয়ার করা। ব্যায়াম করা, প্রপার পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেয়া।
মানসিকঃ কন্টিনিউয়াস লার্নিং। বই পড়া, লেখালেখি করা কিংবা গভীর চিন্তা-ভাবনা করার মাধ্যমে ব্রেইনকে শাণিত করা।
সামাজিক/ইমোশনালঃ আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের সাথে যোগাযোগ রাখার মাধ্যমে সামাজিক অবস্থান তৈরী করা।
আত্মিক (স্পিরিচুয়াল)- আন্তরিকভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা। মেডিটেশান করা। প্রকৃতিতে সময়-যাপন করা। এককথায় আত্মার উন্নয়ন।
বিশদভাবে প্রতিটি অভ্যাসের ব্যাপারে আলোচনা করা হবে এবার।
(চলবে…………..)